ভ্যাট বিতর্কের সুরাহ না হলে থ্রিজিতে নেই রবি। এখনই শেয়ার বাজার নয়.......

Tuesday, March 12, 20130 comments


দ্বিতীয় প্রজন্মেও লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে ভ্যাট সমস্যার সমাধান না হলে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রি জি) সেবায় না যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান আবারো পরিস্কার করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর রবি। তারা বলছেন, থ্রি জি’র যে নীতিমালা হয়েছে তার মধ্যে অনেক বিষয়ে বিতর্ক করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু যেহেতু এটি চূড়ান্ত হয়ে গেছে তাই সেগুলো নিয়ে আর কথা বলতে চান না।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ২০১২ সালের আর্থিক হিসাব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন।
একই সঙ্গে শেষ হওয়া বছরে ৯১ কোটি ১০ লাখ টাকা নেট লাভ করেও অসন্তুষ্ঠি প্রকাশ করছে দেশের তৃতীয় গ্রাহক সেরা অপারেটর রবি। তারা বলছে, এটি কিছু খেলার হিসাব ছাড়া আর কিছুই নয়। বরং সামনের দিনের কথা ভেতে আরো দুঃশ্চিন্তা গ্রস্থ ঠেকছে তাদের।
রবি’র ভারপ্রাপ্ত সিইও প্রদীপ শ্রীবাস্তব বলেন, গ্রাহক কেন্দ্রিক হিসেবে খুবই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তারা। এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেক কিছুই নতুন করে ভাবতে হবে তাদের।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর থেকে বিটিআরসি প্রতিটি সিমের জন্যে প্রি-অ্যাক্টিভেশন বাধ্যতামূলক করেছে। তাতে করে কয়েকটি অপারেটরের গ্রাহক কমেছে। তবে রবি’র গ্রাহক কমেনি বরং সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রবি’র চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার মাহতাবউদ্দিন আহমদ বলছে, অল্প সময়ে এমনকি মধ্যমেয়াদী সময়েও থ্রি জি নিয়ে লাভ করার কোনো সুযোগ নেই। তারপরেও প্রতিযোগিতার কারণে এখানে তাদের নাম লেখাতে হবে।
স্পেকট্রামের অতিমূল্য, বাড়তি আরেকটি অপারেটরকে সুযোগ দেওয়াসহ নানা বিষয়ে তাদের ভিন্ন মত তুলে ধরেন মাহতাবউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ছয়টির পর আরো একটি অপারেটরকে সুযোগ দেওয়া হলে কেউই ব্যবসা করতে পারবে না। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশী হবে। অন্যদিকে স্পেকট্রামের মূল্য বিষয়ে ভারতের কলকাতার সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, তাদের চেয়ে দুই থেকে আড়াইগুন দামে এখানে থ্রিজি’র স্পেকট্রাম বিক্রি করা হচ্ছে।
চূড়ান্ত হওয়া নীতিমালায় নিলামের জন্যে থ্রিজি’র স্পেকট্রামের ফ্লোর প্রাইস ধরা হয়েছে প্রতি মেগাহার্ডজ ২ কোটি ডলার। এককটি অপারেটরকে নূন্যতম পাঁচ মেগাহার্ডজ স্পেকট্রাম নিতে হবে।
ধারাবাহিকভাবে লাভ করে চলা রবি কবে পুঁজিবাজারে আসবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তারা আইপিওতে যেতে চান কিন্তু সেটি কোনোভাবেই বিনিয়োগকারীদের মনখারাপের কারণ করে নয়। ৫০ টাকায় কেনা শেয়ার ২০-৩০ টাকায় নেমে আসুক তা তারা চান না। সেক্ষেত্রে বরং থ্রি জি’র লাইসেন্স সংক্রান্ত বিষয়ের সমাধানের পর রেগুলেটরি পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হয়ে গেলেই তারা পুঁজিবাজারে যাবেন।
এর আগে তারা ২০১২ সালে রবি’র আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে দেখানো হয়, ২০১২ সালে তারা ৯১ কোটি ১০ লাখ টাকা নেট লাভ করলেও বছরের শুরুতে সম্ভাব্য লাভ ধরা হয়েছিলেন ২১৩ কোটি টাকা। এর আগে ২০১১ সালে অবশ্য আপারেটরটির মোট লাভ হলেও নেট লোকসান গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৮২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সব মিলে আজিয়াটার কোম্পানিগুলোর মধ্যে সেরা পাফম্যান্স রবি’র। শেষ হওয়া বছরে তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৭ শতাংশ।
এদিকে রবি’র পার্ফম্যান্সে তাদের মূল কোম্পানি আজিয়াটা সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করলেও রবি বলছে, আজিয়াটা বছর ধরে ধরে হিসেব করে। কিন্তু বাংলাদেশের সর্বশেষ প্রান্তিকের বিষয়টি কেবল অংক দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না।
রবি’র হিসেবে বলা হয়েছে, টানা এগারো প্রান্তিকে আয় বাড়ছে রবি’র। তবে নানা কারণে প্রতি প্রান্তিকে নেট লাভ হয়নি। শেষ হওয়া বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল থেকে জুন) তারা ২০ কোটি টাকার ওপরে লাভ করলেও পরের প্রান্তিকেই তা আবার পড়ে যায়। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) সময়ে অপারেটরটিকে তাদের দ্বিতীয় প্রজন্মে লাইসেন্সের স্পেট্রাম ফি হিসেবে বেশ কিছু টাকা সরকারকে দিতে হয়। সে কারণে ওই প্রান্তিকে লোকসান হলেও চতুর্থ এবং শেষ প্রান্তিকে আবার তারা অনেক লাভ করে।
সব মিলে ২০১২ সালে রবি’র আয় ছিল ৩ হাজার ৮৯৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর আগের বছর তাদের আয় ছিল ৩ তিন হাজার ৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ২০১০ সালে যা ছিল ২ হাজার ৬’শ কোটি টাকা।
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. NETWORK - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Blogger